বিশ্বের নিরাপদ পাঁচটি শহর

প্রকাশঃ আগস্ট ২৪, ২০১৫ সময়ঃ ৭:২৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:৫৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

এ পৃথিবী অনেক রহস্যময়, আবার অদ্ভুত, আবার মায়ার আভাসভূমি। একেক দেশের সংস্কৃতি এক এক রকম। এ পৃথিবীতে নিরাপত্তার অভাব সর্বত্র। চুরি, ডাকাতি, হানাহানি, লুটপাট, রাজনৈতিক হত্যাসহ অপরাধের যেন শেষ নেই। কিন্তু এত হতাশার মধ্যেও আশার আলো ছড়িয়ে রয়েছে কোন কোন শহরে। এমন নগরী আছে মাত্র পাঁচটি। এ পাঁচটি শহরের মানুষ নির্বিঘ্নে ও নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করে। এমনকি গভীর রাতে চলাফেরা করতেও কোন সমস্যা হয় না সেখানে। এমনকি তরুণ-তরুণী শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত রাস্তায় চলাফেরা করার সময় মোবাইল, টাকা পয়সা, ল্যাপটপ কোন কিছুই ছিনতাই হওয়ার ভয় নেই।

শক্তিশালী ভৌত অবকাঠামো, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং প্রযুক্তিগত উন্নতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান। প্রতিবেশি ও আশেপাশের মানুষ কেউ কারো কোন ক্ষতি বা বাজে চিন্তা করে না । এসব কিছু নিরাপদ এই নগরীগুলোর মধ্যে রয়েছে। তাই আজ আপনাদের জন্য থাকছে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ৫টি শহর।

ওসাকা :

osaka japan

বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ নগরী জাপানের ওসাকা। এ নগরীর মানুষ আরাম আয়েশে দিন কাটায়। মানসিক প্রশান্তিতে থাকে এ নগরীর মানুষ। কোথাও কোন প্রকার দুশ্চিন্তা করতে হয় না তাদের। ওসাকাতে চেরি ফুল ফুটেছে। নগরীর সৌন্দর্য্যকে আরো বৃদ্ধি করেছে।

আমস্ট্রাডাম :

amstrudam

নিরাপদ নগরীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডের রাজধানী আমস্ট্রাডাম। এ শহরের মানুষ কখনই কোন বিপদের কথা ভাবতেও পারেন না। তাদের এ ধরনের চিন্তা মাথায়ও আসে না। সুখের জীবন অতিবাহিত করেন তারা। আমস্ট্রাডামের রিক জাদুঘরে চিত্তাকর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নেদারল্যান্ড সরকার।

আমস্ট্রাডামের মানুষ নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটান। নগরীতে কোন প্রকার রাজনৈতিক সংঘাত, দ্বন্ধ, হানাহানি নেই। নগরীর কোথাও বৃষ্টির পানি জমে থাকে না। সর্বত্র স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রয়েছে। বিশেষ করে রাস্তার দু’ধারে প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে। এর ফলে ছায়া ঘেরা পরিবেশ বজায় থাকে সব সময়।

সিডনি :

Sydney

অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বৃহৎ নগরী সিডনি। এ নগরীর মানুষ খুবই আরামপ্রিয় এবং সংস্কৃতিমনা। এ নগরীতে বসবাসরত বিদেশী নাগরিকরা পর্যন্ত এটাকে নিজের দেশের মত ভাবতে পারেন। একে অপরের সুখ দু:খে এগিয়ে আসেন সবাই। নগরীর শোভা বর্ধনের জন্য স্থানীয় সরকার ফুটপাথ প্রসারিত করেছে। মানুষ যেন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে সেজন্যই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যয় করা হয়েছে।

স্থানীয় নাগরিক এবং বিদেশী পর্যটকদের জন্য ক্লাব, পার্ক, হোটেল, মোটেল অত্যাধুনিক করে গড়ে তোলা হয়েছে। কোথাও কোন বিশৃংখলা নেই। একদম কোলাহল মুক্ত নগরী সিডনি।

সিঙ্গাপুর :

singpor

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ছোট্ট একটি দেশ সিঙ্গাপুর। রাজধানী সিঙ্গাপুর সিটি। এ নগরীর সৌন্দর্য্যে বিশ্ববাসী বিস্মিত। এর নিরাপত্তা দেখে সত্যিই অবাক হতে হয়। নগরীর কোথায় কোন অঘটন ঘটার সুযোগ নেই। আইন শৃংখলা বাহিনী, পুলিশ সর্বত্র কড়া নজর দিয়ে নগরীর জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে।

পুলিশ কোন প্রকার অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত হয় না। পুলিশের বেতন খুব উচ্চ পর্যায়ে। পুলিশ যেন কোন প্রকার অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে সে জন্য এ বিভাগে বেতন বেশি প্রদান করা হয়। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই পুলিশকে সতর্ক রাখা হয়। রাজনৈতিক কোন প্রকার সংঘাত নেই। উগ্র সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই সিংগাপুর সিটিতে।

স্টকহোম :

Stockholm

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম। নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা পুরো নগরী। আলো আর আলো ছড়িয়ে রয়েছে পুরো শহরে। স্টকহোম নগরী শিশুদের জন্য স্বর্গরাজ্য বললে ভুল হবে না। পুরা শহর জুড়ে বিনোদন পার্ক, খেলার মাঠ, চারিদিকে সবুজ গাছের সমারোহ। কোন দু:খ-কষ্ট নেই মানুষের মধ্যে। নগরীতে কোথাও কোন অপরাধ সংগঠিত হয় কিনা তা বলা খুবই মুশকিল। আধুনিক প্রযুক্তি আর জ্ঞানের সমন্বয় ঘটিয়ে মানুষের জীবন যাত্রা উন্নত করা হয়েছে স্টকহোমে।

কোন প্রকার চুরি,ডাকাতি, রাহাজানির কথা কেউ চিন্তাই করতে পারেন না। শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই উন্নত যে সাধারন মানুষ এ জন্য কোন দুশ্চিন্তা করেন না।

প্রতিক্ষণ/এডি/এমএস

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G